September 22, 2024, 9:40 am

সংবাদ শিরোনাম
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে ফয়জুল আজীম নোমান এর যোগদান জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে শহীদ জিয়া ও সকল শহীদদের স্মরণে স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি কু‌ড়িগ্রা‌মের উলিপু‌রে বিদ‌্যুৎস্পৃষ্টএক যুব‌কের মৃত্যু যশোরে বালিচাপা অবস্থায় প্রতিবন্ধী যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে ৪০ পিস ইয়াবা ও ১ টি ভ্যান জব্দসহ ২ জন মাদক কারবারি গ্রেফতার জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধে কুড়িগ্রামে জলবায়ু ধর্মঘট খুলনা দৌলতপুর রেলস্টেশন ও মহসিন মোড় কাঁচাবাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে জিয়ার সঙ্গে খালেদাও জড়িত: প্রধানমন্ত্রী

১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে জিয়ার সঙ্গে খালেদাও জড়িত: প্রধানমন্ত্রী

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্রে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও জড়িত ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বঙ্গবন্ধু খুনিদের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি এবং জিয়াউর রহমান তাদের দূতাবাসে চাকরিসহ বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনিদের ভোট চুরি করে পার্লামেন্টে বসিয়েছিলো জিয়ার স্ত্রী (খালেদা জিয়া)। তার অর্থ কি দাঁড়াচ্ছে জিয়াউর রহমান একাই নয়, তার স্ত্রীও ১৫ আগস্টের হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনিরা খুনিই হয়। এই খুনিরা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। বার বার আমাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। কাজেই এদের হাতে দেশের ক্ষমতা গেলে দেশের কি উন্নতি হবে, দেশের মানুষ কি ন্যায় বিচার পাবে? জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসা এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অন্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাদের ক্ষমতা দখল তারা কখনও ন্যায় বিচার করতে পারে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার আগে তার ধানমণ্ডির বাড়িতে জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী খালেদা জিয়ার যাওয়া-আসা ছিল জানিয়ে এর কারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় ‘সরাসরি জড়িত’ থাকার কারণেই জিয়াকে পরে রাষ্ট্রপতি করা হয়েছিল বলে তার বিশ্বাস। সেই সময়ের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, মেজর জিয়া এবং তার স্ত্রী… আমারতো মনে হয় এমন কোনো মাস নাই, তারা আমাদের বাড়িতে না আসত। এই যে ঘনঘন আসা, এর পেছনেও কি ষড়যন্ত্র ছিল? বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরদিন বেতারে সেই ঘোষণা দেওয়া মেজর শরিফুল হক ডালিমের (পরে লেফটেন্যান্ট কর্নেল) প্রসঙ্গ টেনেও একই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ডালিম ২৪ ঘণ্টা আমাদের বাড়িতেই পড়ে থাকত, এমন কোনো দিন নাই আসত না। পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে তিনি নিহত হন। শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান মেজর ছিল। প্রমোশন দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানইতো তাকে মেজর জেনারেল করেছিল। তিনি বলেন, জিয়া যে রাষ্ট্রপতি হল, সূত্রটা যদি খোঁজেন… জিয়া ১৫ অগাস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল বলেৃ আমি তো বলব, একটা এজেন্ট হিসাবেই কাজ করেছিল। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শোক দিবসের এই আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বহু জ্ঞানী-গুণী মানুষ…. সকলে খুব বাহবা দিতে শুরু করল একটা মিলিটারি ডিকটেটর নাকি বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়ে গেছে। মেজর থেকে তিন বছরের মধ্যে মেজর জেনারেল হল। তাকে সেনাপ্রধান করা হল, রাতারাতি রাষ্ট্রপতি হয়ে গেল। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, যেখানে মার্শাল ল আসে, যেখানে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করা হয়, সেখানে গণতন্ত্র কী করে থাকে? জিয়াউর রহমানের সময় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বাধাগ্রস্ত করার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়া সম্পূর্ণভাবে জড়িত ছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার আটকে রাখা হয়েছিল দায়মুক্তি অধ্যাদেশ জারি করে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর তা বাতিল করলে বিচারের পথ খোলে। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায়ে ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আপিল বিভাগ ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। ওই ১২ জনের মধ্যে পাঁচজনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে ২০১০ সালে। বাকিদের একজন মারা গেছেন এবং ছয়জন পলাতক। এরা হলেন- আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এম রাশেদ চৌধুরী, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, আবদুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেমউদ্দিন। তাদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিস জারি করা হয়েছে। ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য সবচেয়ে কলঙ্কজনক দিন হিসেবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে, তার হাতে রাষ্ট্র ক্ষমতা যদি থাকতো তবে স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে বাঙালি জাতি ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত জাঁতি হিসেবে গড়ে উঠতো, উন্নত জাঁতি হিসেবে বিশ্বে মর্যাদা পেতো।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর